Posts

Showing posts from May, 2020

নতুন জীবন – ০৩

নতুন জীবন – ০১ নতুন জীবন – ০২ সকালের দুধ দেওয়া শেষ করে বহ্নিতার ফাঁকা বাড়িতে কামুকী বহ্নিতার এলোমেলো নাইট গাউনের কোমরের গিঁট খুলে দিয়ে বহ্নিতার পেটে, পিঠে হাত চালানোর সাথে সাথে বহ্নিতার ঘাড়ে, গলায় কামনামিশ্রিত চুমুতে পরিবেশ উত্তপ্ত করে তুলছিলো সাগ্নিক। কামুকী বহ্নিতা উপভোগ করছিলো সাগ্নিকের পুরুষালী আচরণ। শুধু উপভোগ করছিলো না, করাচ্ছিলোও। সাগ্নিকের হাত নাইট গাউন ভেদ করে তার শরীরে। পেট, পিঠ কচলে একশা করছে সাগ্নিক। কিন্তু বহ্নিতার আরও চাই। চুম্বনরত সাগ্নিকের কানের লতি কামড়ে ধরলো বহ্নিতা। বহ্নিতা- নাইট গাউন এর ভেতর শুধু পেট আর পিঠই নেই। আরও অনেক কিছু আছে সাগ্নিক। সাগ্নিক- জানি বৌদি। বহ্নিতা- ১৫ মিনিট ধরে ওগুলোই কচলাচ্ছো। তাই জানো কি না সন্দেহ হচ্ছে আমার। সাগ্নিক- তুমিই তো বললে দাদা আসতে আসতে না কি সন্ধ্যে। বহ্নিতা- আহহহহহহহহ সাগ্নিক। তুমি ভীষণ পাকা খেলোয়াড়। গেস করেছিলাম। কনফার্ম করে দিলে এখন। বহ্নিতা এবার সাগ্নিকের টি-শার্ট খুলতে শুরু করলো। পেটানো চেহারা সাগ্নিকের। শক্ত চওড়া বুক। অসহ্য একেবারে। নাইট গাউন সহকারে নিজের বুক লাগিয়ে দিলো সাগ্নিকের খোলা বুকে। ভীষণ হর্নিভাবে...

নতুন জীবন – ০২

নতুন জীবন – ০১ দুমাস পর বাপ্পাদা হঠাৎ একদিন নিমন্ত্রণ করে বসলো। মেয়ের জন্মদিন। মেয়ে এবার ১০ বছরে পা দিচ্ছে, তাই বড় করে অনুষ্ঠান হবে। ওইদিন হোটেল বন্ধ থাকবে। সাগ্নিক চিন্তায় পড়লো। ড্রেসের ব্যাপারে কিছু ভাবেনি এতদিন। আজ ভাবতে হবে। অনেক ভেবেচিন্তে বিকেলের দিকে মলে গিয়ে একটা ব্ল্যাক জিন্স আর পার্পল শার্ট কিনে নিলো। পারফিউম নিলো। ফেসওয়াস। ক্রিম। সবই। সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ রেডি হয়ে বাপ্পাদার বাড়ি পৌছালো। আগে ঢোকেনি কোনোদিন। বাড়িটা চেনে শুধু। বাপ্পাদা একটু তাড়াতাড়ি আসতে বলেছে। ঢুকতেই বাপ্পাদার কমপ্লেন। – এই তোমার তাড়াতাড়ি? ৭ টা বাজে এখনই গেস্ট আসতে শুরু করবে। তাড়াতাড়ি দেখো স্টলগুলো বসেছে কি না। সাগ্নিক- দেখছি দেখছি। বলে সারা বাড়ি ঘুরে দেখলো সাগ্নিক। সাগ্নিক- বাপ্পাদা সব ঠিক আছে। বাপ্পাদা- এসো তবে। বৌদির সাথে পরিচয় করিয়ে দিই। বাপ্পাদা সাগ্নিককে একদম অন্দরমহলে নিয়ে গেলো। বাপ্পাদা- কোথায় গেলে? এসো এদিকে। এই যে আমাদের সাগ্নিক বাবু। – ‘আসছি’ বলে ঘর থেকে বাপ্পাদার বৌ মানে বৌদি বেরোলো। পিঙ্ক কালারের শাড়ি, তাতে প্রচুর কারুকার্য। ম্যাচিং পিঙ্ক ব্লাউজ। ব্লাউজের হাতাটা একটু ছোটোই। আবার ক...

নতুন জীবন – ০১

লোকজনের হইহট্টগোল আর হকারদের চিৎকারে ঘুম ভাঙলো সাগ্নিকের। চোখ কচলে তাকালো। নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন। ঘড়িতে সময় দেখলো ৭ টা বাজে। কামরূপ এক্সপ্রেস। ট্রেন লেট চলছে। এখানে দাঁড়াবে কিছুক্ষণ। আশেপাশের প্যাসেঞ্জার বদল হয়েছে কিছু। কিছু একই আছে। গতকাল একটা বাচ্চা মেয়ে উঠেছিল। এখন নেই। হয়তো মাঝরাতে কোথাও নেমে গিয়েছে। বাচ্চা বলতে একদম বাচ্চা নয়। ওই ১৫-১৬ হবে। মুখের গড়ন সুন্দর। চেহারাও ভালো ছিলো। কিন্তু সাগ্নিকের মুড ছিলো না দেখার। রাতে ঘুমিয়ে একটু ফ্রেশ লাগছে। টিকিট আছে গৌহাটির। আসলে যাবার কোথাও নেই সাগ্নিকের। বাড়িতে ঝামেলা হয়েছে। বাবা-মা ত্যাজ্যপুত্র করেছেন। তাই ব্যাগ গুছিয়ে বেড়িয়েছে নিরুদ্দেশের দেশে। মোবাইল রিসেট করে নিয়েছে। ফোন নম্বর পাল্টে ফেলেছে। ই-মেইল আইডি বন্ধ করেছে। সমস্ত সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট থেকে সরিয়ে নিজেকে গতকাল সারাদিনে। কোলকাতার ছেলে সে। বাঁগুইহাটি। অপরাধ কি? কিছুই না। আবার অনেক। কাকাতো বোনের সাথে অবৈধ সম্পর্ক। ঘরের মেয়েকে আর কে কোথায় পাঠাবে? অগত্যা সাগ্নিকের উপর সব দোষ চাপলো। আর যেহেতু মিলি ছোটো। তাই সব দোষ সাগ্নিকের। ওতটাও ছোটো নয়। মিলির ২৩ বছরের ভরা যৌবন। আর সাগ্নিক...